[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

এদেশের আলেমদের পাস কাটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রচনা অসম্ভব -মুফতি সৈয়দ মোঃ ফয়জুল করীম।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ইউসুফ মুন্সী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোঃ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, তারা নিজের জীবন বাজি রেখে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেছিল। কিন্তু স্বাধীনতা ৫০ বছর অতিক্রম করলেও এখনো মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক দাবি পূরণ হয়নি। মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের থেকে স্বাধীন হয়েছি কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সংবিধান স্বীকৃত স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন আইন প্রনয়ন ও প্রয়োগে সম্পুর্ণ ব্যর্থ হয়েছি, যার ফলে বারবার দলীয়মদদপুষ্ট মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন গঠন হয়।

আজ ২১ ডিসেম্বর’২১(মঙ্গলবার) দুপুর ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন-এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান মুজাহিদের সঞ্চালনায় আয়োজিত আলেম মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপর্যুক্ত কথা বলেন।

শায়খে চরমোনাই আরো বলেন, এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছেন আলেমসমাজ, তাদের অবদান পাস কাটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অসম্ভব। অতএব তাদেরকে বাদ দিয়ে অথবা তাদের চেতনার বিরোধী কোনো বিষয় মুক্তিযুদ্ধের সাথে সংযুক্ত করার প্রবণতা সুফল হবে না। বৃটিশ খেদাও আন্দোলন, দেশ বিভাজনের আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে তিনি বলেন, “আমি আগে মুসলিম; তারপর বাঙ্গালী”। তাই একথা স্পষ্ট প্রমাণিত ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য নয় বরং ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে দেশ পরিচালনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, সর্বমোট খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ৬৭৭ জনের মধ্যে শুধুমাত্র ০৬ জন অমুসলিম। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে এদেশের মুসলিম ও আলেমদের অবদান সকলকেই একবাক্যে স্বীকার করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা নেছার উদ্দিন বলেন, আজকের এই প্রোগ্রাম প্রমাণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশের ইসলাম নামধারী সংগঠন স্বাধীনতা বিরোধী ছিল কিন্তু তারা এদেশের বৃহত্তর আলেম সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না। অতএব তাদের দায়ভার কোনভাবেই এদেশের আলেম সমাজ গ্রহণ করবে না। মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর, মাওলানা সৈয়দ ইসহাক ও মাওলানা কাজী মুতাসিম বিল্লাহসহ অনেক প্রতিনিধিত্বশীল আলেমরা মুক্তিযুদ্ধে পক্ষের শক্তি ছিলেন।

প্রোগ্রামে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, স্বাধীনতার দুটি প্রাপ্তির কথা ছিল, একটি আত্মিক অপরটি বৈশিক্য। কিন্তু আমরা বৈশিক্য প্রাপ্তি অর্জন করলেও আত্মিক প্রাপ্তি অর্জন করতে ব্যার্থ হয়েছি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আল্লামা রুহুল আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী আল-আজহারী, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কারী আলতাফ হোসেন রাঢ়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফেজ শওকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা কাবীরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন হাফেজ ম্ওালানা আবুুল হাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ আলী প্রমুখ।
প্রোগ্রাম শেষে সংবর্ধিত আলেম মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন প্রধান অতিথীসহ অন্যান্য অতিথীবৃন্দ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *